অনলাইনে পেমেন্ট এখন আর আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। এখন প্রযুক্তি পাগল প্রায় অনেকের কাছেই মাস্টারকার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড অ্যাকাউন্ট আছে, অথবা হয় স্ক্রিল, পেইজা বা পেপাল অ্যাকাউন্ট আছে। অনেকে নিয়মিত অনলাইনে পেমেন্ট করে থাকেন। কেউ হয়ত অ্যামাজন থেকে প্রডাক্ট কেনেন, কেউ হয়ত পেইড সাইট গুলোতে সাবস্ক্রাইব করেন, কেউ বা ডোমেইন হোস্টিং কেনেন বাইরে থেকে, কেউ বা আবার গুগল প্লে থেকে অ্যাপ কিনে থাকেন। আবার আমরা অনেকেই আছি যে এইসব মাধ্যম সম্পর্কে জানি না, বা জানলেও ব্যবহার জানি না বলে অনলাইনে লেনদেন করতে পারি না। তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই মেগা টিউন। এই টিউনে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করার যত মাধ্যম আছে, তার সমস্তই তুলে এনেছি।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট এর প্রধান মাধ্যমগুলো কি কি?
১. মাস্টারকার্ড
২. ভিসা কার্ড
৩. কিউ কার্ড
৪. পেওনিয়ার কার্ড
৫. আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড
৬. পেপ্যাল
৭. পেইজা
৮. নেটেলার
৯. স্ক্রিল
১. মাস্টারকার্ড
মাস্টার কার্ড কী?
মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ড পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচলিত প্রথম তিনটি ক্রেডিট কার্ডের একটি। এই কার্ড ব্যক্তিগত ব্যবহার অথবা ছোট-মাঝারি-বড় ধরণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়। মাস্টারকার্ড কোম্পানি এই কার্ড এর ট্রানজ্যাকশন নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু ব্যবহারকারীদের জন্য কার্ড ইস্যু করে না। কার্ড ইস্যুর কাজটি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়।
ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারিত হয়। এজন্য প্রতি প্রতিষ্ঠান অনুযায়ীই মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ সুবিধা আলাদা আলাদা হয়। সুতরাং মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড নেয়ার আগে আসলে আপনাকে কোম্পানিগুলোর অফার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে, এরপরে আপনি নিজের জন্য উপযুক্ত মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ড বেছে নিতে পারবেন। ব্যাংকগুলোর অফারের মধ্যে তুলনা করতে এবং নিজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ডটি বেছে নিতে ক্লিক করতে পারেন স্মার্ট কম্পেয়ার ক্রেডিট কার্ড কম্প্যারিজন ক্যালকুলেটরে।
সাধারণ কিছু ব্যপারঃ
- যদিও কোম্পাই অনুযায়ী মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ সুবিধা আলাদা হয় তারপরও আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সব মাস্টার কার্ডের সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে কমন কিছু ফিচারঃ
- মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করে এমন যেকোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য বা সেবা কিনতে পারবেন কার্ডহোল্ডার।
- বিভিন্ন ধরনের কনজ্যুমারদের আকৃষ্ট করার জন্য মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ডে কিছু অতিরিক্ত ফিচার থাকে যেমনঃ ০.০০% অ্যানুয়াল ফী, রিওয়ার্ড, ক্যাশ ব্যাক, সুলভ ইন্টারেস্ট রেট।
- এছাড়া মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ধরনের কো-ব্র্যান্ডের কার্ডও অফার করে যাতে কার্ডহোল্ডাররা সর্বোচ্চ রিওয়ার্ড পেতে পারে অথবা বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পণ্যের উপর ডিসকাউন্ট পেতে পারে।
- কার্ডহোল্ডার চাইলে সরাসরি অথবা অনলাইনে পণ্য বা সেবা কিনতে পারেন।
- ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেলে বা নকল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অন্য কেউ ট্রানজ্যাকশন করলে এক্ষেত্রে এধরনের ট্রানজ্যাকশনের জন্য কার্ডহোল্ডার কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না।
- অন্যান্য ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের মত মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররাও অন্যান্য সাধারণ সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন যেমনঃ পণ্যের উপর বর্ধিত ওয়ারেন্টি, দামের নিরাপত্তা।
তবে বাংলাদেশ থেকে এই কার্ড পাওয়া খুব ঝামেলার। বিস্তারিত জানার জন্য মাস্টারকার্ড এর ওয়েবসাইটে যানঃ মাস্টার কার্ড
২. ভিসা কার্ড
ভিসা ইনকর্পোরেটেড বা ভিসা হল একটি আমেরিকান বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যার সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফসটার সইটিতে অবস্থিত। কোম্পানিটি সারা বিশ্বে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করে থাকে। এর প্রদত্ত সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিসা ব্রান্ডের ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড। ভিসা কখনই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড প্রদান করে না কিংবা কোন ধরনের কার্ডের জন্য ক্রেডিট সীমা নির্ধারন করে না। এটি শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের মক্কেলদের প্রদানের লক্ষে ভিসা ব্রান্ডের সরঞ্জাম প্রদান করে থাকে। নেলসন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টনিক ফান্ড ট্রান্সফার বাজারের ৩৮% এবং ক্রেডিট কার্ড বাজারের প্রায় ৬০% ভিসার দখলে ছিল। ২০০৯ সালে ভিসা এর বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রায় ৬২ বিলিয়ন লেনদেন সম্পন্ন করে যাতে প্রায় ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন হয়।
অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক, উত্তর আমেরিকা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান, পশ্চিম ইউরোপ, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভিসার ব্যবসায়িক কর্মকান্ড রয়েছে। ভিসা ইউরোপ হল ভিসার একটি এক্সক্লুসিভ ট্রেডমার্ক লাইসেন্স যা শুধুমাত্র ইউরোপেই ব্যবহৃত হয়।
কিছু দরকারি বিষয়
প্রথমতঃ
মাস্টারকার্ড অথবা ভিসাকার্ড এর উপর আসলে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা নির্ভর করে না। এই কোম্পানি দু’টি শুধুমাত্র ট্রানজ্যাকশন নিয়ন্ত্রন করে, বাদবাকি সুবিধাগুল সম্পূর্ণই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের উপর নির্ভর করে। সুতরাং ক্রেডিট কার্ড বেছে নেয়ার সময় আপনাকে আসলে আপনারর অবস্থান অনুযায়ী ব্যাংককে বেছে নিতে হবে যে কোন ব্যাংক আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে।
দ্বিতীয়তঃ
এরপরও কার্ড দু’টির মধ্যে একটু তফাৎ রয়েছে। ভিসা কার্ড দুই লেয়ারে সেবা দেয়- বেস লেভেল এবং ভিসা সিগনেচার। মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড তিন লেয়ারে সেবা দেয়- বেস, ওয়ার্ল্ড এবং ওয়ার্ল্ড এলিট।
ভিসা বেস কার্ড এবং মাস্টারকার্ড বেস ক্রেডিট কার্ড প্রায় একই ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয় যেমনঃ গাড়ির ইন্স্যুরেন্স, অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি পাওয়ার সুবিধা, জরুরি সময়ের জন্য ইমার্জেন্সি সুবিধা, কার্ড নষ্ট হয়ে গেলে অটো রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তবে এক্ষেত্রে মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ড একটি বাড়তি সুবিধা দেয় - প্রাইস প্রোটেকশন (অর্থাৎ, আপনি যদি আপনার মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কোন পণ্য কেনেন এবং কেনার ৬০দিনের মধ্যে ওই পণ্যের বাজারমূল্য কমে যায় তাহলে আপনার ক্রেডিট কার্ড এই দাম অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করবে), তবে এক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে যদিও ভিসা ক্রেডিট কার্ড এই সুবিধা দেয় না, এখন কিছু কিছু ভিসা কার্ড ইস্যুকারী কোম্পানি প্রাইস প্রোটেকশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
মাস্টারকার্ডের ওয়ার্ল্ড লেভেল এবং ভিসা সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড প্রায় কাছাকাছি সুযোগ সুবিধা দেয়। তবে মাস্টারকার্ডের ওয়ার্ল্ড এলিট লেভেল এসব সুবিধাসহ কিছু বাড়তি সুবিধাও দেয়। যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ সুবিধার উপর ডিসকাউন্ট দেয়, এয়ারটিকেটের দামেও ডিসকাউন্ট দেয়।
আমরা কিন্তু ঘুরেফিরে সেই আগের জায়গায়তেই ফিরে আসলাম! আসলে কি এসব পার্থক্য আপনার নিজস্ব প্রয়োজনের উপর কোন প্রভাব ফেলে কিনা? আমি আবারো বলছি সাধারণ কিছু ফিচারে মিল থাকবেই কিন্তু কোন কার্ড ইস্যুকারি কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি ধরনের সুবিধা পাবেন সেটা কোনভাবেই ক্রেডিট কার্ড-এর উপর নির্ভর করে না, সেটা নির্ভর করে কোম্পানি পলিসির উপর। এক্ষেত্রে আপনাকে কোম্পানি (ব্যাংক) বাছতে হবে, ক্রেডিট কার্ড নয়। বাস্তবে গিয়ে দেখা যাবে আপনিও ভিসা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন আপনার বন্ধুও ভিসা ক্রেডিট কার্দ ব্যবহার করছে অথবা আপনার দু’জনই মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। কিন্তু কার্ড ইস্যুকারি কোম্পানি (ব্যাংক) আলাদা হওয়ার কারণে দুজনের সুযোগ সুবিধায় অনেক পার্থক্য! এক্ষেত্রে আমি বলবো অভিজ্ঞ কারো সাথে কথা বলে নিতে।
ভিসা কার্ডের ওয়েব সাইতে যানঃ ভিসা কার্ড
৩. কিউ কার্ড
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন গ্লোবাল অনলাইন পেমেন্ট মেথড MasterCards.co ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ঢাকায় একটি কার্যালয় স্থাপনের কাজ চলছে তাদের। তাদের ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষা যোগ করেছে। এদের তৈরি প্রিপেইড ইন্টারনেট পেমেন্ট কার্ড এবং ভার্চুয়াল কিউ কার্ড দিয়ে অনলাইনে এখন থেকেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে। আজকের টিউনে আমি তাদের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট এর সুবিধা গুলি নিয়ে আলোচনা করছি।
QCard অনলাইন পেমেন্ট সলিউশন
গ্রাহকরা যারা একবার QCard ব্যবহার করেছেন, তারা একবাক্যে স্বীকার করেছেন Qcard বেশ ভাল অনলাইন পেমেন্ট সলিউশন। QCard এর রয়েছে বেশ কিছু দারুণ ও সুবিধাজনক ফিচার যা এটিকে আর সকল পেমেন্ট সিস্টেম থেকে করেছে সম্পূর্ণ আলাদা। QCard এর কয়েকটি অসাধারন সুবিধার মধ্যে রয়েছে- কোন ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াই যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সহজ ভেরিফিকেশন শেষে অল্প সময়ের মধ্যে কার্ড হাতে পাওয়া যায়, বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়, কোন প্রকার মাসিক বা বাৎসরিক ফি দিতে হয় না।
কিছু বিষয়ঃ
কোন ফিস নেই
QCard ব্যবহারে সবথেকে বড় সুবিধা হল আপনাকে কোন প্রকার মেইন্টেনেন্স চার্জ দিতে হবে না। একবার নির্দিষ্ট পরিমান পেমেন্ট করলেই আপনার কার্ডটির আজীবন মেয়াদ সৃষ্টি হবে। এই ক্ষেত্রে কোন প্রকার মাসিক, বাৎসরিক কিংবা হিডেন চার্জ দিতে হবে না।
কোন ক্রেডিট চেক প্রয়োজন নেই
QCard ক্রেডিট চেক করার ক্ষেত্রে সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করতে আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি এই পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন, আপনার ক্রেডিট হিস্টোরি যাই হউক না কেন। এবং যেহেতু আপনার ব্যক্তিগত কোন তথ্য প্রকাশ করছে না QCard, তাই আপনার পক্ষে এই কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো কাজে পেমেন্ট করতে কোন বাঁধাই থাকছে না।
কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই পেমেন্ট
কিউ কার্ড হচ্ছে মুলত প্রি পেইড কার্ড। এর ফলে কোন প্রকার ক্রেডিট রিস্কে আপনাকে পড়তে হবে না QCard ব্যবহার করতে গিয়ে। আপনি ক্রেডিট হিস্টোরি যাই থাকুক না কেন, আপনি অনায়াসে QCard ব্যবহার করে লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। এছাড়াও আপনি QCard এ পাচ্ছেন আপনার ব্যয় নিয়ন্ত্রনে রাখার সুযোগ। এই ক্ষেত্রে আপনার লোড ক্রয়া টাকার অতিরিক্ত কোন টাকা চার্জ হবে না, ফলে ক্রেডিট খরচের সুযোগ নেই।
কিউ কার্ড এর ব্যবহার
১. অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা সহ সকল অনলাইন রিটেইল শপ থেকে কেনাকাটা করা যাবে।
২. ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য গ্লোবাল অবেবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে।
৩. যেকোনো ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশের বাইরে পেমেন্ট পাঠানো যাবে।
৪. জিআরই, জিম্যাট, টোফেল সহ সকল প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষার ফি প্রদান করা যাবে। সেই সাথে অনলাইনে বাইরে থেকে কোর্স করার ফি প্রদান করা যাবে।
৫. গুগল প্লে, আপল স্টোর সহ আরও অনলাইন স্টোর থেকে সফটওয়্যার, অ্যাপ ও গেইম কেনা যাবে। গেমের ভেতরে প্রিমিয়াম সার্ভিস কেনা যাবে। গেমের জেমস কেনা যাবে।
৬. অনলাইনে যেকোনো সাইট থেকে ডোমেইন হোস্টিং কেনার জন্য পেমেন্ট করা যাবে।
এছারাও প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। তাহলে আর দেরি কেন? উল্লিখিত কাজ গুলোর যেকোনোটি যদি আপনার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনার জন্য একটি কিউকার্ড নেওয়া আজই প্রয়োজন।
আরও বিস্তারিত জানুন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেঃ কিউ কার্ড
৪. পেওনিয়ার কার্ড
পেওনিয়ার কার্ড কি?
পেওনার হচ্ছে ইন্টারনেট বেজড ফাইনানসিয়াল সার্ভিস, যা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। এরা বিনামূল্যে কার্ড দিয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উত্তোলন এবং লেনদেনের জন্য। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টিও বেশী দেশে এই ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে একটি অফারের আওতায় রেফারেলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুললে উভয়কে ২৫ডলার করে দিয়ে থাকে পেওনার।
পেওনিয়ারে ২৫ ডলার পাবার শর্ত:
ফ্রিতে ২৫ ডলার পেতে হলে অবশ্যই যেকোন রেফারেল থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কার্ডে নূন্যতম ১০০ ডলার লোড করতে হবে। ১০০ ডলার লোড করার পরে উভয়ই ২৫ ডলার করে পাবে।
যা যা লাগবে:
১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী যেকোন নাগরিক এই কার্ডটির জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট।
কার্ডটি যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারবেন:
যেহেতু এটি মাস্টার কার্ড সেহেতু যেকোন মাস্টার কার্ডের লোগো সম্বলিত এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, পিওএস এ পেমেন্ট করতে পারবেন এবং অনলাইনে শপিং/পেমেন্ট করতে পারবেন।
যেভাবে টাকা লোড করতে পারবেন:
পেওনার মাস্টারকার্ড দ্বারা ওডেক্স, ইল্যান্সসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা লোড করতে পারবেন। এছাড়াও অনান্য মাস্টারকার্ড থেকে পেওনার মাস্টার কার্ডে লোড করতে পারবেন।
কার্ডের খরচ:
প্রতিমাসে কার্ডের রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ ৩ ডলার। কিন্তু মাসে ২ এর অধিকবার লোড করলে খরচ ১ ডলার। তবে কার্ডে ৩ ডলারের কম থাকলে ততটুকই উক্ত মাসের রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ হিসাবে কাটবে। এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করলে উত্তোলনপ্রতি ২.১৫ ডলার চার্জ হবে।
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনে ব্যার্থ হলে .৯০ ডলার চার্জ হবে। এটিএম থেকে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে .৯০ ডলার চার্জ হবে। নতুন কার্ড বা কার্ডপরিবর্তন এর খরচ ১২.৯৫ ডলার। তবে অফলাইন (পিওএস) বা অনলাইনে কেনাকাটার জন্য কোন চার্জ নাই।
পেওনিয়ারের ওয়েবসাইটে যানঃ পেওনিয়ার
৫. পেপ্যাল
পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সহায়তা দিয়ে থাকে। অননলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
একটি পেপ্যালের একাউন্ট খোলার জন্য কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পেপ্যালের মাধহ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গৃহীতা পেপ্যাল কর্তৃপক্ষের নিকট চেকের জন্য আবেদন করতে পারে, অথবা নিজের পেপ্যাল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারে অথবা তার পেপ্যাল একাউন্টের সাথে সংযুক্ত ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা করতে পারে।
পেপ্যাল অনলাইন বিক্রেতাদের জন্য অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, এছাড়াও অনলাইন, নিলামের ওয়বসাইট, ও অন্যান্য বানিজ্যিক ওয়েবসাইট পেপ্যালের সেবা গ্রহণ করে যার জন্য পেপ্যাল ফী বা খরচ নিয়ে থাকে। এছাড়াও অর্থ গৃহণের জন্যেও ফী নিয়ে থাকে যা মোট গৃহীত অর্থের সমানুপাতিক হয়ে থাকে। এই ফী বা খরচ নির্ভর করে কোন দেশের মূদ্রা ব্যবহার হচ্ছে, কিভাবে অর্থের লেনদেন হচ্ছে প্রেরক ও প্রাপকের দেশ, পাঠানো অর্থের পরিমাণ ও প্রাপকের একাউন্টের ধরণের ওপরে। এছাড়াও, ইবে ওয়েবসাইট থেকে পেপ্যালের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে পেপ্যাল আলাদা অর্থ গ্রহণ করতে পারে যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা ভিন্ন মূদ্রা ব্যবহার করে।
নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নীতিমালা
ক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসারে একজন ক্রেতা কোন পণ্য ক্রয়ের ৪৫ দিনের ভেতরে অভিযোগ করতে পারবেন যদি সেই সময়ের ভেতরে পণ্য ক্রেতার কাছে না পৌঁছায় অথরবা পণ্যের বিবরণের চেয়ে যথেষ্ট ভিন্ন রকরমের হয়। যদি ক্রেতা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীর চার্জব্যাক এর মাধ্যমে অর্থ ফেরত পেতে পারেন।
একই ভাবে পেপ্যালের দেয়া তথ্য আনুযায়ী তার বিক্রেতাদেরকেও বিক্রেতার নিরাপত্তা নীতিমালার মাধ্যমে সীমিত পরিমাণে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। সাধারণভাবে, বিক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালার উদ্দেশ্য হল বিক্রেতাকে কয়েক প্রকার অভিযোগ ও চার্জব্যাকের বিপরীতে সুরক্ষা প্রদান করা যদি বিক্রেতা পণ্য পৌঁছানোর প্রমাণসহ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে পারে। পেপ্যালের বক্তব্য অনুসারে বিক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালা "গঠন করা হয়েছে বিক্রেতাদের ক্রেতাদের অননুমোদিত অর্থপ্রেরণ ও পণ্য না পৌছানোর অভিযোগের বিপরীতে সুরক্ষা প্রদানের জন্য ". এই নীতিমালায় একটি তালিকা রয়েছে "বহির্ভূত" পণ্যের যার মধ্যে রয়েছে "অস্পর্শযোগ্য বস্তু", "পণ্যের বিবরণের সাথে পণ্যের অমিল" এবং "বার্ষিক অর্থফেরতের সীমা অতিক্রম" ইত্যাদি। নীতিমালার মধ্যে পণ্য বিক্রয়ের নিয়মের ভেতরেও আরো কড়াকড়ি রয়েছে, অর্থ প্রেরণের পদ্ধতি এবং পণ্য পৌছানোর দেশের ঠিকানাও বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত। (শুধুমাত্র পণ্য ট্র্যাক করার পদ্ধতি থাকলেই তা বিক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালার সুবিধা পাবার জন্য যথেষ্ট নয়।
কিছু বিষয়
পেপাল হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা অর্থ লেনদেন করার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে পেপাল উপলভ্য নয়। অর্থাৎ এই মুহুর্তে আপনি বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে পেপাল একাউন্ট খুলতে পারবেন না। তবে পেপাল সাপোর্ট করে এমন অন্য কোনো দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানা ব্যবহার করে পেপাল একাউন্ট ওপেন করা সম্ভব। অনেকে ফেইক ঠিকানা ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট ও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে পেপাল একাউন্ট খুলে থাকেন। এসব পেপাল একাউন্ট পুরোপুরি ভেরিফাই করাও সম্ভব, তবে ঝুঁকি থেকেই যায়। কী সেগুলো?
- সাধারণত পেপাল একাউন্ট খোলার সময় কোম্পানিটি ব্যক্তিগত তথ্যের প্রমাণ বাধ্যতামূলকভাবে চায় না। কিন্তু পেপালে মোটামুটি বড় কোনো অ্যামাউন্ট লেনদেন করার পর এটি হুট করে আপনার ফটো আইডির স্ক্যানড্ কপি চাইতে পারে। আপনার একাউন্টটি যদি ভুয়া তথ্য দিয়ে খোলা থাকে, তখন ফটো আইডি কোথায় পাবেন? আর সেই মুহুর্তে আপনার পেপাল একাউন্টে যদি টাকা (অর্থ) থাকে তা হোল্ড করে রাখতে পারে পেপাল।
- আপনার পেপাল একাউন্টটি যদি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে বৈধভাবে খোলা থাকে, তারপরও বাংলাদেশ থেকে সেটি ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু বাংলাদেশ এখনও অফিসিয়ালভাবে পেপালের লেনদেন তালিকায় নেই, তাই এখানকার আইপি এড্রেস ব্যবহার করে বেশ কয়েকবার পেপালে লগইন বা এর মাধ্যমে লেনদেন করলে তা আমলে নেয় সার্ভিসটি। আপনার একাউন্টটি সত্যিই বৈধভাবে খোলা কিনা তা যাচাই করার জন্য পেপাল আপনার একাউন্ট সম্পর্কিত বাড়তি তথ্য চাইতে পারে। যেমন এটি আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান করা কপি চাইবে। সেগুলো না দিয়ে পারলে একাউন্ট লিমিটেড (সীমিত) হয়ে যাবে।
- বাইরের দেশের ঠিকানা ব্যবহার করে খোলা পেপাল দিয়ে কোনো কিছু কিনতে গেলে চেকআউটের সময় বিলিং অ্যাড্রেস সেই দেশের ঠিকানাই শো করবে। আপনি এই ঠিকানা প্রতিবার শপিংয়ের সময় এডিট করতে পারেন, তবে এটা পেপালের দিক থেকে খুব বেশি ভাল দৃষ্টিতে নাও দেখা হতে পারে।
- কিছু কিছু কোম্পানি পেপাল পেমেন্ট রিসিভ করার পর বিলিং এড্রেসে দেয়া তথ্য অনুযায়ী আপনার প্রোফাইল তৈরি করে। যেমন, হোস্টিং সেবাদাতা কোম্পানি ডিজিটাল ওশান এর কথাই ধরুন। আপনি যদি প্রথমবার পেপাল দিয়ে ডিজিটাল ওশানে বিল পরিশোধ করেন, তাহলে ডিজিশাল ওশান আপনার পেপাল একাউন্টে দেয়া তথ্য অনুযায়ী আপনার প্রোফাইল তৈরি করবে। এখন আপনি যদি ইউএস ঠিকানা দিয়ে পেপাল খুলে থাকেন, তাহলে ডিজিটাল ওশানেও আপনার কান্ট্রি যুক্তরাষ্ট্র শো করবে। ডিজিটাল ওশানে এটা পরিবর্তন করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ফটো আইডি কার্ড হাতে নিয়ে সেলফি তুলে ডিজিটাল ওশানে আপলোড করতে হবে। অন্যথায় আপনার ডিজিটাল ওশান একাউন্ট ব্লক হয়ে যাবে। একজন ওয়েবমাস্টারের নিকট তার হোস্টিং/ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার মত হতাশাজনক পরিস্থিতি আর হতেই পারেনা। সুতরাং সাবধান!
বাংলাদেশে আসছে পেপ্যাল
অবসেশে বাংলাদেশে আসছে পেপ্যাল! বাংলাদেশে দ্রুতই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল। পেপ্যাল আশা করছে, ‘বাংলাদেশে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পারবে তারা।’
দেশে কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির পর বিষয়টি নিয়ে পেপ্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার এমনটি জানায় পেপ্যাল। অসমর্থিত কয়েকটি সূত্র বলছে, চলতি জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে পেপ্যালের কার্যক্রম নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
এর আগে দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে পেপ্যালের কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি হয়। পেপালের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনাও করে গেছে। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) পর্যায়ের এক কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর হতে ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিং খাতের সংশ্লিষ্টরা পেপ্যালের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিপরীতে পেপ্যালের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে এতদিন শুধু আশ্বাস পেয়েছেন তারা।
পেপ্যালের ওয়েবসাইটে যানঃ পেপ্যাল
৭. নেটেলার
নেটলার কার্ড বর্তমান সময়ের বেশ জনপ্রিয় একটি প্রিপেইড মাস্টারডেবিট কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যেকোন সময় আপনার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং অনলাইন এ কেনাকাটা করতে পারবেন। বর্তমানে নেটলার দুইটি কারেন্সির কার্ড ইস্যু করে থাকে। ডলার এবং ইউরো কারেন্সি কার্ড।
বাংলাদেশ থেকে কি এই কার্ড জন্য আবেদন করা যাবে?
হ্যাঁ করা যাবে।
নেটলার কার্ড এর চার্জ কত এবং বাংলাদেশি যেকোন বুথ থেকে কি টাকা তুলতে পারবো?
চার্জ এর জন্য নেটলার এর ওয়েবসাইট এ যান। বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং অবশ্যই বাংলাদেশের যেকোন মাস্টারকার্ড লোগো চিহ্নিত বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
নেটলার কার্ড এ টাকা লোড করবো কিভাবে?
যদিও নেটলার এ অনেকভাবে টাকা লোড করার পদ্ধতি রয়েছে তারপরেও বাংলাদেশ থেকে টাকা লোড করাটা একটু কঠিন। কারণ বাংলাদেশ থেকে ব্যাংক ওয়্যার টাকা ট্রান্সফার করা যায় না। তাই ব্যাংক থেকে সরাসরি আপনার নেটলার একাউন্ট এ টাকা লোড করতে পারবেন না। এছাড়াও মাস্টারকার্ড এবং ভিসা ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমেও লোড করতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশের বেশির ভাগ ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ইন্টারন্যাশনাল নয় তাই সাপোর্ট নাও করতে পারে। তাই আপনার কেউ বিদেশ থাকলে তাদের মাধ্যমে লোড করিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও বিস্বস্ত্য কারো মাধ্যমেও সরাসরি নেটলার এ ডলার লোড করিয়ে নিতে পারেন। যদিও এটি খুবই সচেতনভাবে করা উচিত কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কারো সাথে লেনদেন করবেন না।
নেটলার একাউন্ট ভেরিফাই করা কি জরুরী?
অবশ্যই। ভেরিফাই না করা হলে নেটলার এর সব সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
ভেরিফাই করতে কি কি ডকুমেন্ট দরকার?
ভোটার আইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি। পাসপোর্ট না থাকলে সেই ক্ষেত্রে অন্য কোন সরকার অনুমোদিত আইডি কার্ড এর স্ক্যান কপি আপলোড করতে পারেন। অথবা বাসার যেকোন বিলের(যেমন- ইলেকট্রিসিটি বিল) স্ক্যান কপি সাবমিট করে দেখতে পারেন। তবে, ভোটার আইডি এবং পাসপোর্ট থাকলে খুব সহজেই ভেরিফাই করা সম্ভব হবে।
নেটলার কি মাস্টারকার্ড ইস্যু করে থাকে?
নেটলার দুই ধরণের কার্ড ইস্যু করে থাকে। একটা ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড এবং আরেকটি হলো রেগুলার প্লাস্টিক মাস্টারকার্ড। ভার্চুয়াল কার্ড এর মাধ্যমে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন শুধুমাত্র এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা ছাড়া। ভার্চুয়াল কার্ড ফ্রী এবং আপনি একাউন্ট ভেরিফাই করার পরেই সেটি এক্টিভেট করতে পারেন। এক্টিভেট করার পর আপনাকে কার্ড এর নাম্বার, এক্সপায়ার ইনফরমেশন এবং সিভিসি নাম্বার দেওয়া হবে যা দিয়ে আপনি অনলাইনে সব কাজ করতে পারবেন।
আর রেগুলার প্লাস্টিক মাস্টারকার্ড এর জন্য আপনার একাউন্ট এ ১৩ ডলার থাকতে হবে। তাহলেই আপনি এই কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ১৩ ডলার এর বিনিময়ে আপনার ঠিকানায় কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাই রেগুলার প্লাস্টিক কার্ড এর জন্য আপনার একাউন্ট এ ন্যুনতম ১৩ ডলার থাকতে হবে।
তবে আমি আপনাকে বলব নেটেলার না নেওয়ার জন্য। কারণ বাংলাদেশের জন্য ওরা এখন ২% বেশি চার্জ রাখতেছে।
No comments:
Post a Comment